ভন্ড মূর্খ নাদান গাট্টিওয়ালা তবলীগ জামাত

ভন্ড মূর্খ নাদান গাট্টিওয়ালা তবলীগ জামাত




\

বিশেষ প্রতিবেদন - ২০ জানুয়ারী, ২০১৪
ছয় উছুলী তাবলীগের নামে প্রতারণা আর কত দিন?
বদ আক্বীদা বিস্তার করে ঈমান নষ্ট করা আর কত দিন?
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ, পবিত্র মাযার শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনাদের বিরোধী ছয় উছুলী তাবলীগে কোনো হিদায়েত ও বরকত নেই।
বরং তা অপরাধীদের অভয়ারণ্য।
অতএব, হে ঈদানদার মুসলমানগণ ঈমান বাঁচাতে ছয় উছুলী তাবলীগ থেকে সাবধান!
-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে কুফরীর অভিযোগে অভিযুক্ত তথাকথিত ছয় উছুলী তাবলীগ জামাতের বার্ষিক মহাসমাবেশ ৪৯তম ইজতেমা। এবারও দু’পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তথাকথিত ও বিতর্কিত এ ইজতেমা। প্রথম পর্ব আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি তথাকথিত আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে এ বদ আক্বীদাসম্পন্ন ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
প্রসঙ্গত বিতর্কিত ও কুফরীর অভিযোগে অভিযুক্ত এই ছয় উছুলী তাবলীগ জামাতীদের সম্পর্কে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনারা ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর পূর্ব দেশগুলোর মধ্য হতে কোন একটি দেশ থেকে আমার উম্মতের ভিতর হতে একটি দল বের হবে। এই দলের সদস্যরা হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মতো। তাদের বক্তৃতা হবে বহু বহু গুণের ফযীলতের। তাদের মতো বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না। তাদের সকল আমল হবে খুবই নিখুঁত ও সুন্দর। তাদের নামাযের তুলনায় তোমরা তোমাদের নামাযকে তুচ্ছ মনে করবে, তাদের রোযা দেখে তোমাদের রোযাকে তোমরা তুচ্ছ ও নগণ্য মনে করবে। তাদের আমল দেখে তোমরা তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে, তারা পবিত্র কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না। তারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার উপর আমল কিম্বা পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে প্রতিষ্ঠার একটু চেষ্টাও করবে না কখনো। এ দলের আমল যতই তোমাদেরকে আকৃষ্ট করুক না কেন, কখনই তাদের দলে যাবে না। কারণ প্রকৃতপক্ষে এরা হবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হতে খারিজ, পবিত্র দ্বীন হতে বহির্ভূত। তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায় সে আর কখনও ধনুকের নিকট ফিরে আসেনা। তেমনিই এরা পবিত্র দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে, আর কখনও পবিত্র দ্বীন উনার পথে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের পথে ফিরে আসবে না।”
উল্লেখিত পবিত্র হাদীস শরীফ উনার প্রেক্ষিতে ছয় উছুলী তাবলীগীদের অপকর্মের ধারাবাহিকতায় আরেকটি নমুনা দেখা যায় গত ৯ই জানুয়ারি তারিখে প্রকাশিত দৈনিক সকালের খবর পত্রিকায়।
সেখানে নিম্নোক্ত শিরোনাম ও খবর পত্রস্থ হয়-
“তাবলীগ জামাতের মুরব্বিকে নিয়ে প্রশ্ন”

“অরাজনৈতিক সংগঠন বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ছয় উছুলী তাবলীগ জামাত নিয়ে একটি চক্রের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অপহরণসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠেছে। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ইজতেমাকে ঘিরে কোনো কোনো চক্রের অপতৎপরতায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে।
বিশ্বের ১৮১টিরও বেশি দেশের নাগরিকের অংশগ্রহণে এ ছয় উছুলী তাবলীগ জামাত এখন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন। তাবলীগ জামাত অরাজনৈতিকভাবে পরিচালিত হলেও সম্প্রতি একটি চক্র তা রাজনৈতিকভাবে পরিচালনার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তারা ব্লগারদের সহযোগিতায় মিশন দাওয়াহ নামে একটি দল গঠনের জন্য ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে।
তাবলীগের নামে অর্থ আদায়, রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ছয় উছুলী তাবলীগ জামাতের সংশ্লিষ্টতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছবি ব্যঙ্গ করার অভিযোগও রয়েছে। এসব কর্মকা- বন্ধ করতে মুসল্লিরা মাঠে নেমেছে। তবে যারাই এ কর্মকা- বন্ধ করতে চাচ্ছে তারাই নানাভাবে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ ডিসেম্বর ওই চক্রের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয় মেহেদী হাসান নামে এক মুসল্লি। তাকে ওই রাতেই লিফলেট বিতরণের অভিযোগে কয়েকজন মিলে প্রহার করে। ওই দিনই গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে পুলিশের সহযোগিতায় রক্ষা পায় মেহেদী। এ ঘটনায় সিএমএম আদালতে ৮ জানুয়ারি মেহেদী হাসান বাদী হয়ে কাকরাইল মসজিদের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার অন্য আসামিরা হলো- ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে ওসামা ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আনিসুল রহমান, মাওলানা আবদুল মতিন। মামলাটি রমনা থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, তাবলীগে অনিয়ম, মিথ্যাচার, সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা, তাবলীগ জামাতকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গত ২৪ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা চলাকালে লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে মারামারি ও সাধারণ মুসল্লিদের আটক এবং তাদের মালপত্র আটকে রাখারও নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। এ সময় আটক মালপত্র ছাড়িয়ে আনতে গেলে ৫-৭ জনকে আটক করে রাখেন ওয়াসিফুল ইসলাম ও তার বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় কাকরাইল মসজিদের সাবেক মুকিম মাওলানা আশরাফ আলীকে লিফলেট বিতরণের ঘটনায় সন্দেহ করে বেধড়ক মারধর করা হয়। সে বেশ কিছুদিন গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।
ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিদের অভিযোগ, ওয়াসিফুল ইসলাম ও তার ছেলে ওসামা ইসলাম তাবলীগ জামাতের নামে কোটি কোটি টাকা বিদেশিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে তা নিজের অ্যাকাউন্টে রেখে ব্যবসার কাজে ও জমি ক্রয়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের পেছনে ব্যয় করছে। তাদের উইং কমান্ডার হিসেবে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান ও মাওলানা আবদুল মতিন।
ছয় উছুলী তাবলীগ জামাতের মুসল্লি মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলে, ওয়াসিফুল ইসলাম তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের নিয়ে হেফাজতের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রক্ষা করে। যার প্রমাণ রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের গত ৫ মে’র সম্মেলন।
সে আরো জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর হেফাজতের কর্মসূচিতে টঙ্গীতে জোড় ইজতেমা চলাকালে সেখান থেকে দুই লাখ মুসল্লির ঢাকার সমাবেশে নেয়ার প্রস্ততি নেয়া হয় ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে। ওই সময় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দাদের তদন্তের ভিত্তিতে সেখান থেকে তড়িঘড়ি করে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা ময়দান থেকে মুসল্লিদের চলে যেতে বলা হয়। আর এটিই ছিল ৬ উছুলী তাবলীগ জামাতের ইতিহাসের প্রথম যে কারো কথায় মুসল্লিদের এভাবে চলে যাওয়া।
মেহেদী আরো জানায়, তাবলীগের মুসল্লিরা তিন চিল্লা অর্থাৎ ১২০ দিনের সফরে আসে। ছয় উছুলী তাবলীগ অনুসারীরা প্রথম ইজতেমা আগামী ২৪ জানুয়ারির ও দ্বিতীয় ইজতেমা ২ ফেব্রুয়ারি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার পর ওই মুসল্লিরা অন্য স্থানে গিয়ে তাদের সফর শেষ করার কথা থাকলেও এরই মধ্যে হেফাজতের রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশে মুসল্লিদের যোগ দেয়ার জন্য ওয়াসিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ইতোপূর্বে কাকরাইলের সাবেক শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম ও তার ছেলে ওসামা ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে বলা হয়, ওয়াসিফুল ইসলাম বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলীগ জামাতের নামে অর্থ এনে তা আত্মসাৎ করেছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় সফরের নামে অর্থ এনে ওই টাকা আত্মসাৎ করে।
জোড় ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা লিফলেটের মাধ্যমে অভিযোগ করে বলে, ২০১২ সালে ইজতেমা চলাকালে ওয়াসিফুল ইসলাম ছয় উছুলী তাবলীগের নামে বিদেশি লোকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়কালে হারুনের নেতৃত্বে কয়েকজন মুসল্লি বাধা দেয়। এরই জের ধরে হারুনকে ইজতেমা চলাকালে গভীর রাতে পুলিশ দিয়ে আটক করানো হয়। এতে ইজতেমা মাঠজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর ওয়াসিফুল ইসলামের কথায় পরদিন পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এ খবর ছয় উছুলী তাবলীগীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে হারুনকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। এক পর্যায়ে হারুনের ছেলেকে ওয়াসিফুলের লোকজন দিয়ে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। এত টাকা হারুন দিতে না চাইলে তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওয়াসিফুল ইসলামের লোকেরা। পরে অনেক কাকুতি-মিনতির পর কিছু অঙ্কের টাকা দিলে ওই দুর্বৃত্তরা তার ছেলেকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ফেলে রেখে যায় এবং বলে যায় সে যদি একথা কারও কাছে প্রকাশ করে তাহলে তার ছেলেকে আবারও তারা অপহরণ করে নিয়ে যাবে।
ওয়াসিফুল ইসলামের বিষয়ে তাবলীগের মুসল্লি জাকারিয়া জানায়, ওয়াসিফুল ইসলাম ও তার বাহিনীর সদস্যরা বেপরোয়া। তারা এমন জঘন্যতম কাজটি করতে পারে তা আমার জানা ছিল না। সে ছয় উছুলী তাবলীগ জামাতের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেছে। সে জানায়, ইতোপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার সন্ত্রাসী কানেকশনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। তার সঙ্গে কথিত জিহাদি ব্লগারদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ওয়াসিফুল ইসলাম পাকিস্তানে লেখাপড়া করেছে এবং তার ছেলে ওসামা ইসলামকে সেখানেই লেখাপড়া করানো হয়। সে অভিযোগ করে বলে, কাকরাইলের শীর্ষ মুরব্বিদের মধ্যে সে অন্যতম।
ওসামা ইসলাম ইতোপূর্বে একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে চেয়েছিল। এই দলের নাম দেয়া হয় ‘দাওয়াহ মিশন’। এই নামেই কথিত জিহাদি ব্লগার মানছুর মোহাম্মদের সঙ্গে এক সঙ্গে ছবি তুলে তা বিশ্ব ব্লগারদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।” (দৈনিক সকালের খবর : ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ঈসায়ী)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছয় উছুলী তাবলীগ জামাতের তথাকথিত ইজতেমায় যে আন্তর্জাতিক মাফিয়া তথা আন্তর্জাতিক স¦র্ণ চোরাচালান, অস্ত্র ব্যবসায়ী ইত্যাদির মহা মিলন ঘটে, প্রকাশিত রিপোর্টে তার আংশিক সত্যতা জাহির হয়েছে।
ধোঁয়া দেখেই আগুন বোঝা যায়।
ভাত একটা টিপলেই বোঝা যায়।
কাজেই ছয় উছুলী তাবলীগীদের হাক্বীক্বত সম্পর্কে উপলব্ধির জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।


বর্তমানে প্রচলিত গাট্টিওয়ালা ছয় উছুলী তাবলিগ হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজী ফির্কা

Posted: 28/04/2014 in বাতিল ফির্কার মুখোশ উন্মোচন
0
image
বর্তমানে সকলের পরিচিত এবং তথাকথিত বড় দল হচ্ছে ইলিয়াস মেওয়াতির স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগ। এ দলের লোকেরা সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর কথামালার বেড়াজালে আবদ্ধ করে নিজেদের দল ভারী করার চেস্টা করে। এবং সাধারণ মানুষও এদের কথা শুনে এবং ফায়দা ফযিলতের কথা শুনে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ এই তাবলিগ জামাতের কুফরী আক্বীদা সম্পর্কে অবগত নয়। সাধারন লোকজন এদের আক্বীদা সম্পর্কে না জেনে শুধু এদের দাওয়াতী কাজে যোগ দিয়ে নবীওয়ালা কাম করছে বলে গর্ববোধ করে।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজী ফির্কা।
আসুন আমরা উক্ত খারেজী ফির্কা সম্পর্কে বর্নিত আলামত সমৃদ্ধ হাদীস শরীফ খানা দেখি–
” সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে হতে কোন একটি দেশ হতে আমার উম্মতের ভিতর হতে একটি দল বের হবে। এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত। তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না। তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না। তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না। এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।””
দলীল-
√ ফতহুল বারী ১২ তম খন্ড ৩৫০ পৃষ্ঠা ।
√ মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা ।
এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানা বাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হদস মৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা ” রহমানী পয়গাম” এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭
নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে।
এখন জানার বিষয় হচ্ছে উল্লিখিত হাদীস শরীফে বর্নিত আলামত বা লক্ষন সমূহ তাবলিগীদের মধ্যে আছে কিনা?
এর জবাবে বলতে  হয়- উল্লিখিত হাদীস শরীফে খারেজী ফির্কার যতগুলা লক্ষন বর্নিত আছে তার সবগুলাই তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিরাজমান। আসুন আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি-
প্রথমত বলা হয়েছে, ” পূর্ব দেশ গুলির মধ্য হতে কোন একটি দেশ থেকে আমার উম্মতের ভিতর থেকে একটি দল বের হবে।
→ দেখুন, প্রচলিত এই ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ এর উৎপত্তি পূর্ব দেশ থেকে । অর্থাৎ ১৩৪৫ হিজরী সনে পূর্ব দেশ ভারতের মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতী ‘তাবলীগ জামাত’ নামক এই ছয় উছুলী তাবলিগ প্রবর্তন করে। বর্তমানেও ভারতের নিজামুদ্দিন বস্তিতে তাদের মূল মারকায বা ঘাটি রয়েছে । সূতরাং দিবালোকের মত প্রমান হলো যে, প্রচলিত ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা তাবলিগ জামাত নামক দলটি পূর্ব দেশ থেকেই বের হয়েছে ।
দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, ” এই দলের সদস্য গন হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত।”
→ দেখুন, এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলিগীদের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে মূর্খ। এদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মলফুজাতে মূর্খ শ্রেণীর লোক দ্বারা দল ভারী করার কথা বলে গিয়েছে। আর মজার ব্যাপার এদের দলে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও ধীরে ধীরে মূর্খে পরিনত হয়। এরা ফাজায়েলে আমল ব্যতীত অন্য কোন কিতাব দেখতেও চায় না,পড়তেও চায় না। এবং ছয় উছুলের বাইরে অন্যকিছু তারা আলোচনাও করে না। তাই কোন শিক্ষিত লোক সেখানে গেলে পূর্ন ইলিম চর্চার অভাবে মূর্খে পরিনত হয়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় এই চিল্লাওয়ালা তাবলিগিরা আলিমদের চাইতে মূর্খদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
যা তাদের মুরুব্বী দের বক্তব্য
দ্বারা প্রমানিত।
যেমন- তাবলীগিদের বিশিষ্ট
মুরুব্বী ইসমাঈল হোসেন
দেওবন্দী তার কিতাবে লিখেছে–
“অনেক স্থলে নবীগন পর্যন্ত
হিদায়েতে বিরাট সংকটে ও
বিপদে পড়িয়াছিলেন,তাই
অনেক স্থানে বিরাটলআলেমও ফেল পড়িতেছে। কিন্তু মূর্খগন তথায় দ্বীন জয় করিতেছে।”
দলীল-
√তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু
দায়িত্ব ১১৬ পৃষ্ঠা ।
সবাই একটু লক্ষ্য করুন তাবলীগ
মৌলবী নিজেই স্বীকার করলো তাবলীগি দের অধিকাংশ মূর্খ। কারন তার কিতাবে মূর্খগন
দ্বারা তাবলীগিদের বুঝিয়েছে।
শুধু তাই নয়, তাবলীগি দের
কিতাবে আরো আছে–
” মূর্খ লোক আমীর হওয়ার জন্য তিন চিল্লা যথেষ্ট । আর আলেম
দের জন্য প্রয়োজন সাত চিল্লা।”
দলীল-
√ তের দফা ৭ পৃষ্ঠা ।
তারা আরো বলে থাকে-
“দ্বীন প্রচার শুধু আলেম দের
মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে দ্বীন ধ্বংস
হয়ে যেত এবং যাবে। অর্থাৎ জাহেল লোক তাবলিগ করার কারনে দ্বন টিকে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে। ”
দলীল-
√ তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ও উহার সদুত্তর ৯৫ পৃষ্ঠা ।
মূল : শা : আ: জাকারিয়া। অনুবাদ- মুহিববুর রহমান আহমদ।
এবার আপনারাই বিচার করুন
হাদীস শরীফে বর্নিত দ্বিতীয় লক্ষল
মিলে গেলো কিনা??
তৃতীয়ত বলা হয়েছে, ” তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না।”
→ এ কথা সারা দুনিয়াবাসীর জানা যে, প্রচলিত এই চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা তাদের বয়ানে শুধু ফজিলতের কথাই বলে। তাদের প্রতিটা সদস্যদের একটাই বুলি- ” দ্বীনের রাস্তায় সময় লাগান, বহু ফায়দা হবে, তিন চিল্লা মারেন বহু ফায়দা হবে, গাস্ত করেন বহু ফায়দা হবে!!!””
এই বহু ফায়াদা হবে এটা তাবলীগিদের একটা কমন ডায়ালগ। সেটাই কিন্তু হাদীস শরীফে বলা হয়েছে- তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের বা ফায়দার।”
যেমন কিরকম ফযীলতের কথা এরা বলে একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন। এরা সাধারণ মানুষকে মসজিদে ডেকে নিয়ে বুঝায়- ” গাশত কারীরা যে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় সে রাস্তায় যে ঘাস হয়, সে ঘাস যে গরু খায়, সে গরুর দুধ বা গোশত যারা খাবে তারাও বেহেশতে যাবে, এতো ফায়দা হবে।”
তাদের বক্তব্যে আরো শোনা গেছে- ” কিছু সময় গাশতে বের হওয়া শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে হাজরে আসওয়াদকে সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চাইতেও উত্তম।”
এবার চিন্তা করুন, হাদীস শরীফে বর্নিত লক্ষম এদের মধ্যে পাওয়া যায় কিনা।
আর এসকল কথার সত্যতা তাদের মুরুব্বী দের কিতাবেই পাওয়া যায়।
তাবলীগ জামায়াত এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতি তার মালফুযাতে লিখেছে-
” ফাযায়েলের মর্যাদা মাসায়েলের চাইতে বেশি।”
দলীল-
√ মলফুযাত ১২৮ পৃষ্ঠা ২০১ নং মালফুজ।
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০১ পৃষ্ঠা ।
তাদের অন্যতম মুরুব্বী মাওলানা নোমান আহমদ লিখেছে-
” সারা বছর প্রতি মাসে তিন দিন করে লাগালে পুরা বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো হয়েছে বলে গন্য হবে। কারন প্রতি নেক কাজে দশগুন সাওয়াব হিসেবে একদিনের কাজে ত্রিশ দিনের সাওয়াব পাওয়া যাবে।”
দলীল-
√ হযরতজীর কয়েকটি স্মরনীয় বয়ান ১৩ পৃষ্ঠা ।
তারা ফায়দার কথা বলতে গিয়ে আরো বলে-
” প্রচলিত তাবলীগ হচ্ছে নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। তাতে যার উঠলো তারা নাজাত পেয়ে গেলো।”
দলীল-
√ তাবলীগ কা মুকিম কাম ৩৯ পৃষ্ঠা ।
সূতরাং উপরোক্ত বিষয় গুলা থেকে এটাও প্রমান হলো, তারা ফযীলতের কথা বেশি বলে ।
শুধু তাই নয়, এরা ফযীলত নিয়ে একের পর এক কিতাবও লিখে, যেমন- ফাযায়েলে আমল, ফাযায়েলে ছদাকাত, ফাযায়েলে তাবলীগ ইত্যাদি আরো অনেক।
সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত তৃতীয় লক্ষনও এদের মধ্যে পূর্নমাত্রায় বিরাজমান এটা প্রমান হলো।
চতুর্থত যেটা বলা হয়েছে, ” তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। ”
→ এরা জবাবে বলতে হয়, আপনারা একটু ভালো করে এদের আমল গুলা খেয়াল করবেন। দেখবেন লোকদেখানোর জন্য এমন ভাবে নামাজ পড়তেছে যে, সিজদায় গেলে যেনো আর উঠতেই চায় না, রুরুতে গেলে আর উঠতেই চায় না….. সাধারন পাবলিক তখন ভাবে, আহা ! কতই না উত্তম ভাবে নামাজ পড়তেছে। এদের প্রায় সবার কপালে কালো দাগ হয়ে গেছে। এরা বুঝাতে চায় তারা এতো নামাজ পড়ে যে কপালে দাগ পরে যায়। ( মূলত সঠিক ভাবে নামাজ পড়লে ওই রকম দাগ কোন দিনও হবে না, এরা এই দাগ মাটিতে কপাল ঘষে বানায়।) এবং এরা লোক দেখানোর জন্য এবং দলে ভিরানোর জন্য এরা এমন বিনয় প্রদর্শন করে, মানুষ মনে করে না জানি এরা কত ভালো।
আর এথায় হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-” তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। ”
সূতরাং হাদীস থেকে খারেজীদের চতুর্থ লক্ষন তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান প্রমান হলো।
পঞ্চমত বলা হয়েছে–“ তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।'”
→ এর প্রমানও এদের মধ্যে বিদ্যমান । এরা কুরআন শরীফের কোন হুকুম প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই করে না। এদের একটাই কাজ সেটা হচ্ছে, গাট্টিবস্তা নিয়ে মসজিদে মসজিদে ঘোরা ফেরা করা আর মসজিদের মুসল্লিদের দাওয়াত দেয়া। অথচ অসংখ্য বেনামাজি আছে, সুদ খোর আছে, দূর্নিতিবাজ আছে এদের বুঝাইতে যায় না। এরা নিজেরাই হারাম নাজায়িয কাজে মশগুল।
শুধু তাই নয়, দুনিয়াতে খিলাফত কায়েম হোক এ ব্যাপারে তাদের কোন প্রচেষ্টা নেই। বরং খিলফতের ব্যাপারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে।
যেমন তাদের কিতাবে বর্নিত আছে–
” প্রচলিত তাবলিগ জামায়ে জিহাদ পূর্নমাত্রায় বিদ্যমান বা ছয় উছুলী তাবলীগ হচ্ছে জিহাদে আকবর!”
দলীল-
√ তাবলীগে দাওয়াত কি এবং কেন ৭৫ পৃষ্ঠা
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০৯ পৃষ্ঠা ।
√ তাবলীগ জামায়াতের সমালোচনা ও তার জবাব ৮৮ পৃষ্ঠা ।
অর্থাৎ এই মসজিদে মসজিদে পিকনিক করাকে তারা জিহাদে আকবর বলে। এভাবে ইসলাম কায়েমের দিক থেকে কৌশলে তারা মানুষকে সরিয়ে দিচ্ছে।
আর তাছাড়া তাদের নেসাব ছাড়া তারা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফের কোন আলোচনাই করে না।
সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত- ”
তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।” এই লক্ষনও তাবলীগ জামায়াতের মাঝে বিদ্যমান সেটা প্রমান হলো।
পরিশেষে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-“ এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।””
অর্থাৎ এরা দিন ইসলাম থেকে খারীজ হয়ে গিয়েছে, চিরতরে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদের দলে বা এদের ডাকে সাড়া না দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে ।
উপরোক্ত হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজীদের যাবতীয় লক্ষন চিল্লাওয়ালা তাবলীগিদের মধ্যে বিরাজমান স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো।
এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরাই হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত জাহান্নামী মুরতাদ খারেজী ফির্কা। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফ বর্নিত আরো কিছু অকাট্য প্রমান :
হাদীস শরীফ-
” হযরত শারীক ইবনে শিহাব রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমার প্রবল ইচ্ছে ছিলো যে, যদি আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাহাবীর সাক্ষাত পাই তবে উনাকে ” খারেজীদের” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবো। সৌভাগ্যবশত এক ঈদের দিন হযরত আবু বারযাতুল আসলামী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার সাথে উনার কতক বন্ধু সমেত সাক্ষাৎ হলো। তখন আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কখনো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে “খারেজীদের” সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি আমার দুকানে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি এবং নিজ চোখে তাকে দেখেছি। একদা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে কিছু মাল আসলো। তিনি তা বন্টন করে দিলেন। যে উনার ডানে ছিলো তাকেও দিলেন এবং যে উনার বামে ছিলো তাকেও দিলেন। কিন্তু যে উনার পিছনে ছিলো তাকে কিছুই দিলেন না। তখন এক ব্যক্তি পিছন থেকে দাঁড়িয়ে বললো, হে মুহম্মদ ! (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাল বন্টনে আপনি ইনসাফ করছেন না। ( নাউযুবিল্লাহ)
লোকটি ছিলো কালো বর্নের নেড়ে মাথা, গায়ে ছিলো সাদা রং এর দুখানা কাপড়। তার কথা শুনে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভীষন রাগান্বিত হলেন এবং বললেন, আল্লাহ পাক উনার কসম! তোমরা আমার পরে আর কোন ব্যক্তিকেই আমার চাইতে বেশি ইনসাফ কারী পাবে না। অতঃপর বললেন, শেষ জামানায় এমন একদল লোকের আবির্ভাব ঘটবে এ লোকটি তাদের একজন। তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের কন্ঠনালীর নিচে নামবে না। অর্থাৎ অন্তরে বসবে না। তারা ইসলাম থেকে এরুপ বের হয়ে যাবে যেরুপ নিক্ষিপ্ত তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়। তাদের পরিচয় হলো তারা হবে ন্যাড়া মাথা। অর্থাৎ সর্বদা মাথা মুন্ডন করবে। “”
দলীল-
√ নাসাঈ শরীফ
√ মিশকাত শরীফ ১ম খন্ড, কিতাবুল কিসাস, মুরতাদ দের হত্যা সংক্রান্ত অধ্যায় ।
হাদীসে আরো বর্নিত আছে–
” হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, শেষ যামানায় এমন এক দলের আবির্ভাব হবে ( যে দলের সদস্যরা) বয়সে যুবক নির্বোধ ও মূর্খ হবে। তার বয়ানে শ্রেষ্ঠতম কথা গুলোই বলবে। ”
দলীল-
√ বুখারী শরীফ
মাহবুবে সুবহানী, ইমামে রব্বানী, শায়েখ মুহিউদদ্দিন আব্দুর কাদীর জ্বিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি খারেজীদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন বলেন-
” খারেজীদের আরেকটি দলের নাম হারুরীয়া। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার দল ছেড়ে কুফা হতে বের হয়ে হারুরা নামক স্থানে অবস্থান নিয়েছিল।তাই এদের হারুরীয়া বলা হয়। হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, এরা দ্বীন হতে এমন ভাবে বের হয়ে যাবে যেমন ধনুক হতে তীর বের হয়ে যায়। এরা কখনোই দ্বীনে ফিরে আসবে না। সত্যি এরা দ্বীন ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। সত্য পথ পরিহার করেছে। ইসলামী খিলাফতের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে এবং মুসলমান দের জান মাল হালাল মনে করেছে। এরা তাদের দলভুক্ত নয় এমন লোকদের কাফির মনে করে থাকে। হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় ছাহাবীগনের উপর জুলুম ও নির্যাতন করেছে এবং ছাহবীগনের হত্যা বা সমালোচনা বৈধ মনে করে। ”
দলীল-
√ গুনিয়াতুত তলেবীন ৮৮ পৃষ্ঠা ।
উপরোক্ত হাদীস শরীফ সমূহের বর্ননা দ্বারা খারেজীদের আক্বীদা, আমাল ও বৈশিষ্ট্য থেকে যে সকল বিষয় পাওয়া যায় তা হলো-
(১) নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বদ ধারনা অর্থাৎ নবী রসূল আলাইহিস সালাম গন ভুল করেছেন বা গুনাহ করেছেন বলে মনে করা।
(২) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগনের প্রতি বদ ধারনা। অর্থাৎ খারেজীরা হযরত সাহাবায়ে কিরাম গনের সমালোচনা করা বৈধ মনে করে।
(৩) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সুন্নত বাবরী চুলের বিরোধিতা করে মাথা ন্যাড়া করা বা মুন্ডন করা পছন্দ করে।
(৪) অধিকাংশ সদস্য নির্বোধ ও জাহিল হওয়া।
(৫) তাদের বয়ান গুলো চমকপ্রদ হওয়া।
(৬) এরা এদের দলভুক্ত ব্যতীত অন্য সবাইকে কাফির মনে করে।
এবার আসুন দেখা যাক উল্লেখিত আক্বীদা, আমল, বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রচলিত ছয় উছুলী তাবলীগ জামায়াত এর মধ্যে আছে কিনা !!
(১) খারেজীদের মত চিল্লাওয়ালা তাবলিগীরাও হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সুধারনা রাখে না। বরং তাবলীগিদের আক্বীদা হচ্ছে- নবী-রসূল গন ভুল করেছেন, উনার গুনাহ করেছেন ইত্যাদি ।
আসুন আমারা প্রমাণ গুলা দেখি-
তাবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মলফুযাতের মধ্যে লিখেছে–
” যখন তাঁহারা ( নবী-রসূল আলাইহিস সালাম ) সেই তালীম ও হেদায়েতের জন্য সাধারণ তবকার লোকদের সহিত মেলামেশা করিতেন তখন তাঁহাদের মোবারক ও নূরানী অম্তর সমূহে সেই সাধারণ লোকদের অন্তরের ময়লা ও আবর্জনা প্রতিফলিত হইত। অতঃপর নির্জনে বসিয়া জিকির ফিকিরের দ্বারা সেই আবর্জনা ধৌত করিয়া ফেলিতেন।”
দলীল-
√ মলফুজাত ১১১ নং মলফুজ।
তাবলীগিদের মুরুব্বী দের দ্বারা লিখিত কিতাবে আছে–
” হযরত আদম আলাইহিস সালাম গন্দম খেয়ে ভুল করেছেন।”
দলীল-
√ মলফুযাতে শায়খুল হাদীস ২৩১ পৃষ্ঠা ।
তাবলীগের অন্যতম গুরু ইসমাঈল হোসেন দেওবন্দী লিখেছে–
” দাওয়াত বন্ধ করার কারনে আল্লাহ হযরত ইউনুছ আলাইহিস সালামকে অবশ্য গযবে ফেললেন। হযরত ইউনুছ আলাইহিস সালাম মাছের পেটে চল্লিশ দিন আবদ্ধ থেকে নিজ ভুল ত্রুটি স্বীকার করে তওবা করার কারনে বিপদ থেকে উদ্ধার পেলেন।”
নাউযুবিল্লাহ !!
দলীল-
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৬২ ও ৮৯ পৃষ্ঠা ।
এই খারেজী তাবলিগী মৌলবী আরো লিখেছে–
” হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চল্লিশ দিন পর্যন্ত গারে হেরা পর্বতে থেকে আল্লাহ পাকের ধ্যান ও যিকিরের চিল্লা দিলেন, যার ফলে তিনি কুরআন ও নবুওয়াত প্রাপ্ত হলেন।”
নাউযুবিল্লাহ !!
দলীল-
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৮৯ পৃষ্ঠা ।
উক্ত খারেজী ইসমাঈল হোসেন দেওবন্দী তার কিতাবে আরো লিখেছে–
” হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘকাল পর্যন্ত ঈমানের তাবলীগ করে প্রথমে ঈমান পরিপোক্ত করিয়াছেন।”
দলীল-
√ তবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৭০ পৃষ্ঠা ।
উপরোক্ত দলীল দ্বার অকাট্যভাবে প্রমানিত হলো খারেজীদের প্রথম বৈশিষ্ট্য নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের অবজ্ঞা এবং সমালোচনা করার এই বৈশিষ্ট্য তাবলীগিদের মাঝে শতভাগ বিদ্যমান।
(২) এরপর দ্বিতীয় যে বৈশিষ্ট্য সেটা হচ্ছে, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের প্রতি বদ ধারনা করা এবং উনাদের সমালোচনা করা। খারেজীদের মত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরাও সাহাবায়ে কিরাম গনের সমালোচনা ও বদ ধারনা করে থাকে। এর কিছু প্রমান দেয়া হলো–
চিল্লাওয়ালা তাবলীগিদের অন্যতম মুরুব্বী ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী লিখেছে–
“লক্ষাধিক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগনের মধ্যে অধিকাংশই মূর্খ ছিলেন।”
নাউযুবিল্লাহ !!
দলীল-
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৯৩ পৃষ্ঠা ।
√ শরীয়তের দৃষ্টিতে তাবলীগী নেছাব ।
√ তাবলীগ জামায়াতের প্রধান তর্ক ও ইচ্ছা।
প্রচলিত তাবলীগিদের বিশ্ব আমীরের বয়ান সম্বিলিত কিতাবে লিখেছে–
” কিছু ছাহাবী উহুদ যুদ্ধে ভুলের স্বীকার হয়ে চীজ আসবাব (গনীমতের মাল) এর দিকে দৃষ্টি দিয়ে গিরিপথ থেকে সরে এসে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশ অমান্য করায় উহুদ যুদ্ধে পরাজয় বরন করতে হয়েছে ।”
দলীল-
√ হযরতজীর কয়েকটি স্মরনীয় বয়ান ৫৩-৫৫
খারেজী ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী লিখেছে-
” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগনের ঈমান দীর্ঘকাল তাবলিগ করার কারনেই পরিপোক্ত বা মজবুত হয়েছে ।”
দলীল-
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৭০ পৃষ্ঠা ।
উপরোক্ত দলীদ দিয়ে দেখা গেলো প্রচলিত তাবলীগিরা খারেজীদের মত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম গনের সমালোচনা করে এবং তাদের অপনান সূচক কথা বলে। অতএব এ বৈশিষ্ট্যও তাবলিগীদের মধ্যে রয়েছে এটা প্রমান হলো।
(৩) এরপর তৃতীয়ত যেটা বলা হয়েছে, এরা সুন্নতী বাবরী চুল না রেখে সর্বদা মাথা ন্যাড়া বা মুন্ডন করবে। এটা খুবই মজার ব্যাপার এটা যাচাই করতে আপনারা ঢাকা কাকরাই আসেন, দেখবেন ন্যাড়া মাথার অনেক খারেজী ঘোড়াফেরা করতেছে। এবং আমি নিজেও অসংখ্য বার তাবলিগী দের সেলুনে মাথা মুন্ডন করতে দেখেছি।
বাংলাদেশের তাবলিগী খারেজীদের অন্যতম মৃত শায়খুল হদস আজিজুল হক এর “রহমানী পয়গাম” এবং হাটহাজারীর আহম্মক শফীর “মাসিক মঈনুল ইসলাম” পত্রিকায় যতবার চুল রাখা সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছে ততবার এরা উত্তর লিখেছে, মাথা মুন্ডন কারা সুন্নত!”
দলীল-
√ মঈনুল ইসলাম মার্চ/২০০২ সংখ্যা।
অথচ সিয়া ছিত্তার হাদীসে শতশত হাদীস শরীফ আছে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাবরী চুল রাখতেন।
কিতাবে বর্নিত আছে–
ان المصطفي كان لايحلق شعره لغير نسك
অর্থ: প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ্ব ব্যাতীত অন্য কোন সময় উনার মাথা মুন্ডন করেন নাই।”
দলীল-
√ জামিউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ১/৯৯
ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৯ম খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠায় আছে-” মাথা মুন্ডন সুন্নত নয়।”
অথচ এই তাবলিগীরা মাথা মুন্ডন করে চকচকে করে রাখে। কারন মাথা মুন্ডন করাই হচ্ছে খারেজীদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খারেজীদের লক্ষন বর্ননা করে বলেন–
سيما هم التحليق
অর্থ: মাথা মুন্ডন হচ্ছে এদের বিশেষ চিহ্ন ।”
দলীল-
√ মিশকাত শরীফ কিতাবুল কিসাস
সূতরাং খারেজীদের অন্যতম লক্ষন বা বৈশিষ্ট্য মাথা মুন্ডন বা ন্যাড়া করা তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান । অতএব এ তৃতীয় বৈশিষ্ট্যও প্রমানিত হলো।
(৪) চতুর্থত যে বৈশিষ্ট্য, অধিকাংশ লোক নির্বোধ, মূর্খ, জাহিল হওয়া। এবিষয়ে এই পোস্টের প্রথম হাদীস শরীফের বিশ্লেষণে দলীল দেয়া হয়েছে । ওইখানে দেখুন….
(৫) পঞ্চমত যেটা বলা হয়েছে, এদের বক্তব্য হবে বহুগুনের ফযীলতে বা চমকপ্রদ। এ বিষয়েও এই পোস্টের প্রথম হাদীস শরীফের বিশ্লেষণে দলীল দিয়ে প্রমান করা হয়েছে । সেখানে আবার দেখুন….
(৬) ষষ্ঠত যেটা বলা হয়েছে, এরা নিজেদের ব্যতীত অন্য সবাইকে কাফির মনে করবে। খারেজীদের মত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা নিজেদের ব্যতীত সবাইকে অমুসলিম মনে করে। এদের ধরনা শুধু এরাই মুসলিম আর সবাই কাফির।
এর প্রমান স্বয়ং তাবলিগীদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতির মালফুজাতে আছে। সে লিখেছে-
” মুসলমান দুই প্রকার। একদল তাবলীগের জন্য হিজরত করবে । দ্বিতীয় দল নুছরত বা সাহায্য করবে। এ দু’দলই মুসলমান ।”
দলীল-
√ মালফুজাত ৪৩ পৃষ্ঠা ৪২ নং মালফুজ।
√ দাওয়াত ও তাবলীগ কি ও কেন ২১ পৃষ্ঠা ।
√ হযরতজীর কয়েকটি সম্মরনীয় বয়ান ২/১১
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১৭৪ পৃষ্ঠা ।
উক্ত তাবলীগ প্রতিষ্ঠাতা স্পষ্ট বলেই দিলো, যারা তার স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগি করবে এবং একাজে সাহায্য করবে তারাই মুসলমান। আর যারা করবে না তারা মুসলমান না।
শুধু তাই নয়, তাবলীগ গুরু আম্বর আলী লিখেছে-
” ছয় উছুল ভিত্তিক এবং তরতীব মোতাবেক সকল স্থানের সকল লোককে দাওয়াত দেয়া ফরজ বা জরুরী এবং এ দাওয়াত না দেওয়ার কারনে যারা ঈমানহারা হয়ে মারা যাবে, তাদের জন্য যারা দাওয়াতের কাজ করবে না অথবা জড়িত থাকবে না, তাদেরকে আল্লাহ পাকের কাছে জবাবদীহি করতে হবে এবং তারা পাকড়াও হবে।”
দলীল-
√ দাওয়াতে তাবলীগ ৪৯ পৃষ্ঠা ।
উক্ত দলীল থেকে দেখা যাচ্ছে, তাদের ভাষ্যমতে যারা তাদের স্বপ্নে প্রাপ্ত চিল্লাওয়ালা ছয় উছুলী তাবলীগ করবে না তারা ঈমানহারা হবে, জাহান্নামী হবে , মুসলমান হতে পারবেনা ইত্যাদি ।
আর এরকম আক্বীদা একমাত্র খারেজী ফির্কাই পোষন করে।
খারেজীরাই বলে থাকে তাদের দলভুক্ত না হলে সবাই কাফির। এবিষয়টি আমরা তাবলীগিদের মধ্যেও দেখতে পেলাম।
সম্মানিত মুসলমান ভাই ও বোনেরা, আমরা অত্যম্ত সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ দিয়ে বুঝতে পারলাম খারেজী ফির্কা সংক্রান্ত যে হাদীস শরীফ বর্নিত হয়েছে, সেখানে খারেজীদের যে লক্ষন বলা হয়েছে সে লক্ষন সমূহ প্রচলিত ছয় উছুলী তাবলীগ জামায়াতের মধ্যে পরিপূর্ণ বিদ্যমান রয়েছে । আর খারেজীদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত।
এবং এই খারেজীদের ব্যাপারে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন—>>
لءن ادر كتهم لا قتلنهم قتل عاد
অর্থ: যদি আমি তাদের পেতাম, আদ গোত্রের মত হত্যা করতাম।”
দলীল-
√ মিশকাত শরীফ- মুজিজা অধ্যায়- ১ম পরিচ্ছেদ ।
এবার চিন্তা করুন কত কঠোর বানী উচ্চির হয়েছে খারেজীদের ব্যাপারে। তাবলীগিরা যেহেতু খারেজী তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য, এই তাবলিগীদের প্রতিহত করা, এদের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা, সালাম না দেয়া, সালামের জবাব না দেয়া, ছেলে-মেয়ে বিয়ে শাদী না দেয়া, এদের সাথে খাদ্য না খাওয়া,মারা গেলে জানাজা না পড়া, মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়া।
এইটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ফতোয়া।
আল্লাহ পাক আমাদের এই খারেজী তাবলীগি ফির্কা থেকে হিফাজত করুন।
আমীন !!!! 
 

প্রচলিত ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা তাবলিগ জামাত হচ্ছে শয়তানের প্ররোচনায় সৃষ্ট একটি দল !

Posted: 18/02/2015 in বাতিল ফির্কার মুখোশ উন্মোচন
0
image
চিল্লা ওয়ালা তাবলিগ কিন্তু কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ সম্মত কোন পথ নয়। এটা তাদের মুরুব্বী ইলিয়াসের বক্তব্য দ্বারাই প্রমানিত যে তাবলিগ হচ্ছে এস্তেদারাজের ফল। এস্তেদারাজ কি জিনিস জানেন ?
এস্তেদারাজ হচ্ছে শয়তানের ওয়সওয়াসা দ্বারা কোন মানুষের স্বপ্নে অথবা আত্মিক ভাবে বিভ্রান্তি। হাদীস শরীফে তিন প্রকারের স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে, যার একটি হচ্ছে শয়তান দ্বারা দৃশ্যমান হয়। এটাই হচ্ছে এস্তেদারাজ।
তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতা মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতির মালফুজাত থেকে সম্পূর্ন বিষয়টা আমি উপস্থাপন করছি একটু মন দিয়ে পড়ুন।
তাবলিগ প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস এ প্রসঙ্গে বলেছে,
” আমি আমার উপর এস্তেদারাজের ভয় করিতেছি।”
দলীল-
√ মালফুজাত এর ৬৫ নংয় মালফুজ,
প্রকাশনা : তাবলিগ ফাউন্ডেশন, ৫০ বাংলাবাজার, ঢাকা – ১১০০।
দেখুন ইলিয়াস কিন্তু নিজেই বলেছে সে তার উপর এস্তেদারাজের ভয়ে ছিলো। অর্থাৎ সে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছিলো সে মনগড়া যে তাবলিগ আবিস্কার করেছে সেটা হচ্ছে এস্তেদারাজ। কারন সেটা ইলিয়াস পেয়েছিলো স্বপ্নের ভিতরে।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস নিজেই বলেছে,
“এই তাবলীগের তরীকা স্বপ্নের মাধ্যমেই আমার উপর খোলা হইয়াছে।”
দলীল-
√ মালফুজাত, ৫০ নং মালফুজ।
এটা একটা বিদয়াত পথ এবং এস্তেদারাজ দ্বারা প্রাপ্ত একটি বিভ্রান্তিকর মতবাদ। এই তাবলিগ মোটেও কোরআন সুন্নাহ দ্বারা পরিচালিত কোন তরীকা নয়। এটা সম্পূর্ণ ওহাবীদের ফর্মূলা অনুযায়ী তৈরিকৃত এক বিকৃত মতবাদ। প্রমান দেখুন ইলিয়াসের নিজের মলফুজাতেই আছে। ইলিয়াস বলেছে-
” (আশরাফ আলী )থানবী বহুত বড় কাজ করিয়া গিয়াছেন , আমার অন্তর চায় তালীম হইবে তাঁহার আর তাবলীগের তরীকা হইবে আমার।”
দলীল-
√ মালফুজাত, ৫৬ নং মালফুজ।
দেখুন, তাবলিগ প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস নিজেই বলেছে এই তাবলিগের তালীম হবে থানবীর এবং তাবলিগের তরীকা হবে ইলিয়াসের নিজের। সে কিন্তু একথা কোথাও বলে নাই তাবলিগ হবে কুরআন সুন্নাহ ইজমা কিয়াস দ্বারা সেই সাথে মাযহাবের আলোকে এবং ইলমে তাছাউফের তরীকায়। সে বলেছে তাবলিগের তরীকা হবে তার নিজের। অর্থাৎ তার স্বপ্নেপ্রাপ্ত শয়তানের এস্তেদারাজ দ্বারা।
শুধু কি তাই ? সে এমন এক এস্তেদারাজী তরীকা প্রবর্তন করেছিলো যে তার নিজের মুরুব্বীরাও তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলো। এবং তাকে এসব বিভ্রান্তি থেকে ফিরে আসতে বলেছিলো। কিন্তু জবাবে সে নিজের ওস্তাদের বিরোধিতা করে কি বলেছিলো দেখুন-
” আমার ঐ সকল বুজুর্গের খেয়াল হইল আমার এই চাল চলন ও তরীকা আমাদের হযরত মোরশেদ (রঃ) এর তরীকার খেলাফ। কিন্তু আমার বক্তব্য হইল এই যে, যেই জিনিস দ্বীনের জন্য উপকারী এবং খুব বেশী উপকারী হওয়া দলীল ও অভিজ্ঞতা দ্বারা সাব্যস্ত হইয়াছে, উহাকে শুধু এই জন্য পরিত্যাগ করা যে, আমাদের শায়েখ করে নাই, ইহা বড় ভুল কথা। শায়েখতো শুধুমাত্র শায়েখ, তিনি ও আল্লাহর বান্দা।”
দলীল-
√ মালফুজাত, ১৬১ নং মালফুজ।
দেখুন শায়েখ কখন কোন কিছু নিষেধ করেন? যখন বুঝতে পারেন তার মুরীদের দ্বারা কোন ভুল হচ্ছে, বিভ্রান্তি হচ্ছে, বিদয়াত হচ্ছে, তখনি শায়েখ সেটা নিষেধ করেন মুরীদকে। কারন শায়েখ পথ প্রদর্শক বলেই তিনি শায়েখ। অথচ ইলিয়াছ তার শায়েখকে অবজ্ঞা করে নিজের এস্তেদারাজ দ্বারা প্রাপ্ত বিদয়াত তাবলিগকে প্রতিষ্ঠিত করতে কেমন দাম্ভিক উক্ত করেছে। যেটা তার চরম বেয়াদবি এবং শয়তানের ধোঁকায় ঘুরপাক খাওয়ার প্রমান বহন করে।
সর্বোপরি মানুষ নিজের দুই নম্বরী নিজেই কমবেশি বুঝতে পারে। ইলিয়াস প্রথম থেকেই জানতো সে যে পথ আবিষ্কার করেছে সেটা স্বপ্নেপ্রাপ্ত শয়তানের এস্তেদারাজের ফল। কিন্তু দুনিয়াবী কিছু স্বর্থের জন্য নিজের বানানো এই তরীকাকে সর্বসাধারণের কাছে প্রচার করেছে। তাই পরিশেষে সে কিন্তু কৌশলে সবাইকে এই তাবলিগে না যাওয়ার জন্য সতর্কও করেছে। এমন ভাবে বলেছে যাতে কেউ গেলে নিজের জিম্মাদারীতে যাবে। কেউ এই বিভ্রান্ত পথে গিয়ে বিভ্রান্ত হলে এর দায়ভার ইলিয়াস নিবে না এটা পরিস্কার করে গিয়েছে। দেখুন তার বক্তব্য –
” আমার মর্যাদা একজন সাধারন মোমেন হইতে উপরে মনে করিবেন না। শুধু আমার কথার উপর আমল করা বদ দ্বীনী। আমি যাহা বলি উহাকে কিতাব ও ছুন্নার সহিত মিলাইয়া এবং নিজে চিন্তা ফিকির করিয়া নিজের জিম্মাদারীর উপর আমল আমল কর। আমিত শুধু পরামর্শ দিয়া থাকি। “
দলীল-
√ মালফুজাত , ২১০ নং মালফুজাত।
দেখলেনতো পাঠক ! ইলিয়াস কিন্তু মরার আগে বলে গেছে এই তাবলিগ যারা করবে তারা যেন নিজ জিম্মাদারীতে বা নিজ রিস্কে আমল করে। কারন এই এস্তেদারাজ পথে পরিচালিত হয়ে কেউ যদি জাহান্নামী হয় তবে সেটা যার যার নিজের রিস্কে হবে, ইলিয়াস দায়ী থাকবে না। সে কিন্তু টেকনিক্যালি নিজে দায় মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে গেছে।
সম্মানিত পাঠক ! আপনারাতো দেখলেন এই হলো তাবলিগের সৃষ্টি এবং কর্মধারার ইতিহাস। যেটা স্বপ্নে পাওয়া শয়তানী এস্তেদারাজের ফল। যেটা কুরআন সুন্নাহর তরীকা বিহীন ইলিয়াসের সম্পূর্ণ নিজের তৈরী তরীকা বা প্রোডাক্ট। পরিশেষে ইলিয়াস নিজেই বলে গিয়েছে এই প্রোডাক্ট যে খাবে সে তার নিজ দায়িত্বে খাবে কেউ খেয়ে মারা গেলে সে এর জন্য দায়ি নয়…….!!!
হে মুসলমান সমাজ ! সিদ্ধান্ত আপনার, আপনারা কি পবিত্র ইসলামী তরীকা পালন করবেন নাকি এস্তেদারাজী ইলিয়াসী তরীকা পালন করবেন?

৫টি মন্তব্য:

  1. আল্লাহ (সুঃ) তোমাকে হেদায়েত দান করুক। হয় তুমি আহ্লে খবীশ না হলে রেজা বেরেলভী মারকা কাদিয়ানী শয়তানের অনুসারী।

    উত্তরমুছুন
  2. দাওয়াতএ তাবলীগ সম্বন্দে উপরে উল্লেখিত লেখা থেকে এটাই প্রমান হয় যে, এই ব্যাক্তি ইসলামের শত্রু পশ্চিমাদের দালাল, এই দালালের কথায় বুঝা যাচ্ছে যে আমাদের কে ধর্ম কর্ম ছেরে দিয়ে বিধর্মিদের পা চাটতে হবে। যে খানে লক্ষ্য লক্ষ্য ইসলাম ধর্ম বিমূখ মানুষকে ইসলাম ধর্মেদিকে নিয়ে আসছে, নাম ধারি মুসলমান থেকে ইমানধার মুসলিম হচ্ছে,নামাজ বিমূখ থেকে নামাজি হচ্ছে,এবং যুবক ভাইয়েরা নামাজি ও নবী(সঃ) সুন্নত ধারি হচ্ছে, সেখানে এই শয়তান দালাল ইবলিশের ভূমিকা পালন করছে।

    উত্তরমুছুন
  3. ঠিক বলেছেন।
    আর যারা দুই জন কমেন্ট করেছে ওরা পীরের মুরিদ তাই। ইসলাম সম্পর্কে সামান্যা জ্ঞান নাই।

    উত্তরমুছুন
  4. যিনি এ কলাম লিখেছেন, তার প্রতি অনুরোধ, হালাল টাকায় ৩টা চিল্লা দেন ৷ তাবলীগের দোষ ধরার জন্য নয়, মহান আল্লাহকে রাজী করার জন্য ৷

    উত্তরমুছুন