ভন্ড আহাম্মক রেযা খাঁ বেরেলভী এর হাকীকত

ভন্ড আহাম্মক রেযা খাঁ বেরেলভী












    রেজা খাঁ। একটি প্রসিদ্ধ নাম ।একটি বিপ্লব ।তবেহকের পথে নয় কুফরি বিস্তারেরপথে ।হারাম কে হালাল আর হালাল কেহারাম, বেপর্দা হওয়া,ব্যক্তিপূজা, আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন উনার সাথে শিরক, আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন উনাকে নুরের তৈরি মনে করা, নূরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন উনার সৃষ্টি নুর না মনে করে জাতি নূর, আরনবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে অবমাননা করে শয়তানকে প্রাধান্যদানসহ মুসলমান উনাদের মাঝে নিজের কুফরি মতবাদ কে প্রতিষ্টা করা। সুন্নতের অনুসরণ, নামায রোজাসহ ইবাদত বন্দিগীতে মনযোগী না হয়ে তার কবরে মানুষ কে, গাঁজায় টান দিয়ে বাউল গান, নারী-পুরুষের এক সাথে অবস্থান করাসহ জঘন্য সব গোনাহের কাজকে ধর্ম বলে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এক কথায় বলা যায় এ উপমহাদেশে কুফরির পুনর্জীবনদানকারী হিসেবে আবির্ভূত  হয়েছিলেন আহমদ রেজা খান সাহেব। আমরা বক্ষ্যমান প্রবন্ধে আহমদ রেজা খান সাহেব এবং তার মতবাদ প্রচারক একনিষ্ট ভক্তদের লিখিত পুস্তক পুস্তিকা থেকে তার মতাদর্শ উদ্ধৃত করবো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন মন্তব্য করবো না। বিজ্ঞ পাঠক/পাঠিকারাই বিচার বিবেচনা করবেন এ রেজাখানী বেরেলবীদের কী হুকুম হওয়া উচিত শরীয়ত তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত উনার দৃষ্টিতে। তার আদর্শ ও কর্মকান্ড তুলে ধরার আগে
    বেরেলবীদের কলমে আহমদ রেজার কুফরি প্রশংসাবাণীগুলো একটু তোলে ধরা সমীচিন মনে করছি।
     
    বেরেলবীদের কলমে আহমাদ রেজা খাঁর প্রশংসা।

    ১- আ’লা হযরতের জবান ও কলমের এমন অবস্থা দেখলাম যে, তাকে আল্লাহ তাআলা তার নিজের হেফাযতে নিয়ে নিয়েছেন। আর জবান ও কলমে ফোটা পরিমাণ ভুলকেও অসম্ভব করে দিয়েছেন। {আহকামে শরীয়ত-২৭}
    ২- আলা হযরত মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মুজাদ্দিদে মিল্লাত এর কথায় যা কিছু আছে তা কিছুতেই অতিরঞ্জন নয়, বরং এটি সরাসরি হাল ও মনের ইচ্ছে। যেটা হুজুরে আলা হযরত এরই কলব মুবারক ছিল। যা তিনি মুখস্ত করতেন।  
    ৩- অশুদ্ধ এবং ভুল কথা শৈশবেও তার জবান মুবারকে আসেনি। শরীর, প্রাণ, কলব ও জবানের মালিক
    আল্লাহ তাআলা তাকে সকল প্রকার পদস্খলন থেকে হিফাযত করেছেন। {সীরাতে আলা হযরত-১২৬}
    ৪- আহমাদ রেজা খাঁকে দেখে সাহাবায়ে কেরামের সাক্ষাতের আগ্রহ দূর হয়ে গেছে। {ওসায়া শরীফ-২১, হাসনাইন রেজা বেরেলবী} এখনে সাহাবীদের চেয়েও আহমদ রেজা খাঁকে বড় সাব্যস্ত করা হল।
    ৫- আলা হযরতের সত্বা পয়গম্বের উল্টোপিঠ। [মূল উর্দু ﺫﺍﺕ ﭘﯿﻤﺒﺮ ] {সাওয়ানেয়ে আলা হযরত, তাযাল্লিয়াতে
    ইমাম আহমাদ রেজা-১৬৬, কারী মুহাম্মদ আমানত রসূল}
    ৬- তুমি [আহমাদ রেজা] দীদারে মুজতাবা সাঃ। {ওসায়া শরীফ-৭৫} নবীদের সমতূল্য সাব্যস্ত করা হল এখানে আহমদ রেজাকে। শুধু তাই নয় রেজাখানী মতাদর্শের লোকেরা নবীদের চেয়ে বরং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার এর চেয়েও তাকে বড় মনে করে নাউজুবিল্লাহ! {মাআরেফে রেজা-১৬০}
    ৭- আলা হযরতকে আমি ইবনে আবেদীন শামী এর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেই। কেননা যেই পূর্ণাঙ্গতা আলা হযরতের
    মাঝে আছে, সেটা ইবনে আবেদীন শামীর ছিল না। {ফিক্বহে ইসলাম-৩০} ফিক্বহে হানাফীর পৃথিবী বিখ্যাত গ্রহণযোগ্য গ্রন্থ “ফাতওয়া শামী” সংকলক আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ এর চেয়েও নাকি আহমাদ রেজা খাঁ বড় আলেম।
    ৮- আহমাদ রেজা খাঁ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার মুজেজা। {আলা হযরত, আলা সিরাত-১৭০}
    ৯- ﺗﻴﺮﻯ ﺗﻌﻈﻴﻢ ﮨﮯ ﺳﺮﮐﺎﺭ ﻋﺮﺏ ﮐﯽ ﺗﻌﻈﻴﻤﮓ ﺗﻮ ﮨﮯ ﺍﻟﻠﮧ ﮐﺎ ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﺗﯿﺮﺍ তোমার [আহমাদ রেজা] সম্মান মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনারই সম্মান, তুমি আল্লাহ পাক এর আর আল্লাহ পাক হলেন তোমার।
    {মাদায়েহে আলা হযরত-২৮} আহমাদ রেজার সম্মান মানেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সম্মান?!
    ১০- আহমাদ রেজা খাঁ নিজেই নিজের সম্পর্কে কী বলে? শুনুন!
    “আলহামদুলিল্লাহ! যদি আমার মনকে টুকরা করা হয়, তাহলে আল্লাহর কসম! তাহলে একাংশে লেখাথাকবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” আর অন্য অংশে লিখা থাকবে “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”।” {আলমালফূজ-২/৬৭}
    ১১- আহমাদ রেজার প্রশংসা যেন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার এরই প্রশংসা! “আপকি হামেদ হ্যায় হামেদে সাইয়্যিদে কাউনাইন কা, হ্যায় ওহ তেরী হ্যায় ও শান আহমাদ রেজা খান। অর্থাৎ আপনার প্রশংসাকারী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনারই প্রশংসাকারী। আপনারী এ মর্যদা হে আহমাদ রেজা
    খান।
    ১২- আহমাদ রেজা আল্লাহ পাক উনার ছাত্রঃ মাওলানা বেরেলবী সাহেব রহমানের ছাত্র। তিনি কারো থেকে জ্ঞান অর্জন করেননি। {হায়াতে আহমাদ রেজা খান-৫৩}
    ১৩- আহমাদ রেজা ঈসা আলাইহিস সালাম উনার মুজেজার চেয়েও বড়! “অসুস্থ্য আরোগ্য পায় ঈসা আলাইহিস সালাম উনার বরকতে, আর উদভ্রান্তদের জিবীত করেন আহমাদ রেজা। {মাদায়েহে আলা হযরত-২৫, খলীফা আহমাদ রেজা, আইয়ুবআলী}
    ১৪- আহমাদ রেজা খাঁ কেবলা ও কাবা! হরমওয়ালারা তোমাকে [আহমাদ রেজা] মেনেছে স্বীয় কেবলা ও কাবা, যে কেবলা আহলে কেবলার সেটিতো তুমিই। {মাদায়েহে আলা হযরত-৩০}
    ১৫- ফাতওয়ায়ে রেজাইয়্যাহ অমূল্য বস্তু! “আপনাদের জন্য এ ফাতওয়াটিতে দুষ্প্রাপ্য এমন জ্ঞান রয়েছে, যা ইয়াকুত ও মুক্তা। আমার আগে যে ব্যাপারে কোন মানুষ হাত লাগায়নি। {খুতবায়ে ফাতওয়া রেজাইয়্যাহ- আহমাদ রেজা}

    আহমাদ রেজা খানের আসল চেহারা
    বংশ পরিচয়ঃ আহমাদ রেজা বিন নকী আলী বিন রেজা আলী বিন কাজেম আলী। [হায়াতে আলা হযরত-২}
    শারিরিক আকৃতিঃ শৈশবে তার গায়ের রং ছিল গাঢ় বাদামী। কিন্তু ধারাবাহিক মেহনত তার গায়ের ঔজ্জল্যতা হারায়। {আলা হযরত-৩০, নাসীম বাস্তায়ী} আলা হযরতের ডান চোখ ছিল নষ্ট। এতে তিনি ব্যাথ্যাও অনুভব করতেন। আর পানি পড়তে পড়তে তা আলোহীন হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এর চিকিৎসা করিয়েছেন, কিন্তু এটি ঠিক হয়নি। {মারফুজাত-১/১৬-১৭} তবীয়ত ও মেজাজঃ তার মেজাজ ছিল চড়া। মুফতী মাজহারুল্লাহ  বেরেলবী তার ফাতওয়ায়ে মাজহারিয়্যাতে লিখেন-“চড়া মেজাজী আলা হযরত আহমাদ রেজা খান হয়তো এ অশ্লীল কবিতা বাজারী মহিলাদের ব্যাপারে উদ্ধৃত করেছেন। {ফাতওয়া মাজহারিয়্যাহ-৩৯২}
    আলা হযরতের মেজাজ ছিল খুবই চড়া। {আনওয়ারে রেজা-৩৫৮} এ কারণেই লোকেরা তার থেকে বিমুখী হতে শুরু করেছিল। অনেক কাছের বন্ধুরাও তার এ স্বভাবের কারণে তার থেকে দূরে চলে যায়। এদের মাঝে
    মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসীনও আছে। যিনি মাদরাসায়ে শাআতুল উলুমের প্রধান ছিলেন। যাকে আহমাদ রেজা
    উস্তাদের মর্যাদা দিতেন। তিনিও তার থেকে আলাদা হয়ে যান। এছাড়াও মাদরাসায়ে মিসবাহুত তাহযীব যেটা তার পিতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেটাও তার দুর্ব্যবহার ও বদমেজাজী, আত্মগরীমা এবং মুসলমানদের কাফের বলার কারণে তার হাত থেকে ছুটে যেতে ছিল। আর মাদরাসার ষ্টাফরা তার থেকে দূরে সরে ওহাবীদের সাথে মিলে। অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, বেরেলবীদের মার্কাজে আহমাদ রেজা খার তত্বাবধানে কোন মাদরাসা বাকি রইল না। {হায়াতে আলা হযরত-২১১, জফরুদ্দীন}
    আলা হযরত মাওলানা আব্দুল হক খায়রাবাদীর কাছে মানতেকী ইলম শিখতে চাইলেন। কিন্তু তিনি তাকে
    পড়াতে রাজি হলেন না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেনঃ আহমাদ রেজা বিরুদ্ধবাদীদের ব্যাপারে খুবই কঠোর শব্দ ব্যবহার করতে অভ্যাস্ত। {হায়াতে আলা হযরত-২৩, যফরুদ্দীন, আনওয়ারে রেজা-৩৫৭} # বেরেলবী নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী ও আলা হযরতকে এ অভিযোগ দিতে হয় যে, আপনি আপনার লেখায় এত
    কঠিন শব্দ ব্যবহার করবেন না। {আলহুজ্জাতুল ফাইহাহ-২}
    আলা হযরতের মেধা ও স্মৃতি শক্তি
    # একবার আলা হযরতের সামনে খানা রাখা হল। তিনি তরকারী খেয়ে ফেললেন রুটি ছাড়াই। তার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেনঃ কি ব্যাপার? আপনি রুটি ছাড়া তরকারী খেয়ে ফেললেন কেন? তিনি জবাব দিলেনঃ আমি রুটি দেখিনি। অথচ রুটি তরকারীর সাথেই রাখা ছিল। {আনওয়ারে রেজা-৩৬০}
    # একবার আলা হযরত চশমা উঁচু করে মাথার উপর রেখে দিলেন। কথাবার্তা বলার পর চশমা কোথায় তালাশ
    করতে লাগলেন। চশমা কোথায় খুঁজে পেলেন না। ভুলেই গেলেন যে, চশমা মাথায় রাখা। পেরেশান হয়ে গেলেন। হঠাৎ করে হাত মাথায় লেগে গেলে চশমা নাকের উপর এসে যায়, তখন বুঝতে পারেন চশমা মাথায় ছিল। {হায়াতে আলা হযরত-৬৪, যফরুদ্দীন}
    এ আলা হযরতই বলে থাকেন যে, পরিপূর্ণভাবে গায়েবের খবর না জেনে কোন ব্যক্তি ওলী হতে পারে না। {খালেসুল ই’তিকাদ-৫১, আহমাদ রেজা}
    তাহলে নিজের মাথায় রাখা চশমার খবর নেই কেন? এ গায়েবের খবর না জেনে ওলী হল কিভাবে? 
    আলা হযরতের যৌনানুভূতি
    # জনাব আইয়ুব আলী সাহেব বলেনঃ হুজুর [আহমাদ রেজা] এর বয়স মুবারক তখান ৫/৬ বছরের ছিল। সেসময় শুধু একটি বড় কুর্তা পরিধান করে তিনি বাড়ির বাহিরে এলেন। এমতাবস্থায় নর্তকী কিছু মেয়ে সেখান দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছিল। দেখামাত্র তিনি উভয় হাত দিয়ে জামার সামনের অংশ উঠিয়ে চেহারা মুবারক ঢেকে ফেললেন। এ অবস্থা দেখে সেখানকার এক নর্তকী বলতে লাগলঃ আরে সাহেব! মুখতো ঢেকে নিলেন, কিন্তু সতরতো খুলে গেল! তখন তিনি বললেনঃ যখন দৃষ্টি উন্মত্ত হয়, তখন অন্তর উন্মত্ত হয়, আর যখন অন্তর উন্মত্ত হয়, তখন সতর উন্মত্ত হয়। { হায়াতে আলা হযরত-১/২৩}
    হারাম মাল দিয়ে মিলাদ আয়োজন
    # প্রশ্নঃ নর্তক দল যাদের আমদানী কেবল হারাম। তাদের এখানে মিলাদ শরীফ পড়া এবং এ হারাম আমদানী দিয়ে বানানো শিরনী দিয়ে ফাতিহা করা জায়েজ আছে কি নেই?
    উত্তরঃ তার মালের শিরনী দিয়ে ফাতিহা করা হারাম। তবে যদি সে মাল পাল্টে মজলিস করে। আর এই লোকেরা যখন কোন কল্যাণকর কাজ করতে চায়, তখন তারা এমনি করে থাকে। আর এজন্য তাদের কোন
    সাক্ষ্যি পেশ করার দরকার নেই। যদি সে বলে যে, আমি ধার নিয়ে এ মজলিস করেছি। আর সে ঋণ তার
    হারাম মাল দিয়েই আদায় করেছে, তাহলে তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে। বরং শিরনী যদি নিজের হারাম মাল
    দিয়ে ক্রয় করে, এবং এর বদলে হারাম মাল দেয়। {আহকামে শরীয়ত-২/১৬৪}
    আলা হযরতের খোদাভীতিঃ আলা হযরত বলেনঃ আমি নিজে দেখলাম গ্রামে ১৮ বা ২০ বছরের এক তরুণী
    ছিল। তার মা ছিল খুবই দুর্বল। সে সময়ও তার দুধ ছাড়ায়নি। মা প্রতিদিন তাকে নিষেধ করে, সে জোর
    খাটিয়ে সিনার উপর চড়ে দুধ পান করতো। {মালফুজাতে আহমাদ রেজা-৩/৬৮, আহমাদ রেজা} আলা হযরত বাড়ির পাশের বেগানা মহিলার এত গভীর খবরও রাখতেন।
    আলা হযরতের সুস্থ্যতা ও খানাঃ আলা হযরত বেরেলবীদের মাঝে মোটাসোটা ব্যক্তি ছিলেন। {হায়াতে আলা হযরত-১/৭২} আলা হযরতের খাবার ছিল চাক্কিতে পিশা আটার রুটি আর বকরীর কোর্মা। গরুর গোস্ত তিনি খেতেন না। {হায়াতে আলা হযরত-১/৯০}
    আহমাদ রেজা খা সাহেব একবার দাওয়াত খেতে গেলেন। সবাই আলা হযরতের খানা শুরু করার অপেক্ষা
    ছিল। আলা হযরত মুরগীর বাটি থেকে একটি টুকরা উঠিয়ে খেলেন। তারপর আরেকটি। তারপর আরেকটি,
    এমনিভাবে। এবার দেখাদেখি সবাই মুরগীর বাটির দিকে হাত বাড়ালো। কিন্তু তিনি সবাইকে বারণ করলেন। বললেনঃ আমি খাব! অবশেষে তিনি সবই খেয়ে ফেললেন। {ফায়যানে সুন্নত, তৃতীয় প্রকাশ, পৃষ্ঠা-২৮২}
    আহমদ রেজা খাঁর ৫০ বছরের মেহনতঃ মৌলবী আহমাদ রেজা খান বেরেলবী সাহেব ধারাবাহিক নিরবচ্ছিন্নভাবে ৫০ বছর ধরে আপ্রাণ মেহনত চালিয়ে গেলেন। অবশেষে দেওবন্দী বা ওয়াহাবী ও
    বেরেলবী দুটি পৃথক দল প্রতিষ্ঠিত হল। {সাওয়ানেহে হায়াতে আলা হযরত বেরেলবীস-৮, কারী ভীতি
    সাহেব}
    মৃত্যুর দুই ঘন্টা ৭ মিনিট আগের অসিয়তঃ মৃত্যুর দুই ঘন্টা ৭ মিনিট আগে অসীয়ত করে আলা হযরত বলেনঃ
    রেজা হুসাইন এবং তোমরা সবাই মোহাব্বত ও ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আর যথাসম্ভব শরীয়তের অনুসরণ ছাড়বে না। আর আমার দ্বীন ও মাযহাব যা আমার কিতাব দ্বারা প্রমাণিত এর উপর মজবুতির সাথে প্রতিষ্ঠিত থাকা
    ফরজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। {ওয়াসায়া শরীফ} মৃত্যুর আগে আহমাদ রেজা খান সাহেব দীর্ঘদিনের মেহনতের দ্বারা যে নতুন ধর্ম ও মাযহাব প্রতিষ্ঠিত করে গেলেন তা ধরে রাখতে শরীয়ত প্রণেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তা ফরজ করে গেলেন ভক্তবৃন্দের জন্য। এরই নাম রেজাখানী মতাদর্শ!
    আহমাদ রেজা খান সাহেবের সবার সাথে মতানৈক্যঃ
    সত্য কথা হল এই যে, মাওলানা আহমাদ রেজা খান  সাহেবের ইলমী ভান্ডার থেকে এটা বের করা কঠিন নয় যে, তিনি কার সাথে মতভেদ করেছেন। বরং এটা বের করা কঠিন যে, তিনি কার সাথে একদম মতভেদ করেননি! যদি কাউকে পাওয়া যায় যার সাথে তিনি কোন বিষয়েই মতভেদ করেননি, তাহলে বুঝতে হবে
    এটা বহুত বড় আবিস্কার। {মুফতী শুজাআত আলী কাদেরী, শরহে মুসলিম-৭/২৫}
    সাধারণ মানুষদের মাঝেতো একথা প্রসিদ্ধ ছিল যে, আহমাদ রেজা খান সাহেব বেরেলবীদের মাঝে কুফরী
    ফাতওয়া দেয়ার মেশিন ফিট করে রেখেছিলেন। {সুফাইদ ওয়া সিয়াহ-৩৪, কাওকাবে নূরানী ওকারবী
    আনওয়ারে রেজা}
    আহমাদ রেজা খান সাহেবের সাহাবাগণের সাথে মতভেদঃ মুজাদ্দিদে বরহক আহমাদ রেজা কাদেরী হানাফী সাহেব আকাবীরে সাহাবাগণ রাঃ এবং আইয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন তথা ইমাম আজম আবু হানীফা রহঃ, ইমাম মালেক রহঃ, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ এর মতের সাথেও মতভেদ করেছেন। {হাক্বায়েকে শরহে মুসলিম ওয়া দাক্বায়েকে তিবয়ানুল কুরআন-১৭২-১৭৩, ইসমাঈল কাদেরী নূরানী}
    আহমাদ রেজা খান সাহেব কোন মাদরাসা থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত নয়ঃ তিনি [আহমদ রেজা] শিক্ষা অর্জনের জন্য কোন মাদরাসায় ভর্তি হননি। {খায়াবানে রেজা-১৮, ইকবাল আহমাদ কাদেরী} আলা হযরত নিজেই বলেছেন যে, “আমার কোন উস্তাদ নেই”। {সীরাতে ইমাম আহমাদ রেজা-১২, আব্দুল হাকীম শাহ জাহানপুরী}
    আহমাদ রেজা কখনো যাকাত দেননি তিনি নিজেই বলেন যে, “আমি কখনো এক পয়সা যাকাত দেইনি”।
    {সীরাতে আহমাদ রেজা-৩৫, আব্দুল হাকীম শাহ জাহানপুরী}
    আহমদ রেজার পা “মুহাম্মদ” শব্দের দাল নাউজুবিল্লাহ! “আহমাদ রেজা সর্বদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সাদৃশ্য নিয়ে শুইতেন। এমনিভাবে যে, উভয় হাত মিলিয়ে মাথার নিচে রাখতেন। আর পা গুটিয়ে রাখতেন। যাতে মাথাটা মীম, কনুই “হা” কোমরটা “মীম” আর পাটি “মীম” হয়ে যেন মুহাম্মদ সাঃ এর নামের নকশা হয়ে যেতেন। [নাউজুবিল্লাহ] {সীরাতে আহমদ রেজা-৪৫, আব্দুল হাকীম শাহ জাহানপুরী}
    নামাযে আহমদ রেজার মনের স্পন্দনঃ আহমদ রেজা বলেনঃ শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর আমার আলখেল্লার বোতাম ছিড়ে গিয়েছিল। {যিয়ায়ে হরম কা আলা হযরত নম্বর-২৫}
    আহমদ রেজা মুর্খদের নেতাঃ বেরেলবী রেজাখানী মাদরাসা থেকে ফারিগ এক মাওলানা বলেনঃ “আহমদ
    রেজা খান যেন মুর্খদের নেতা ছিলেন”। {ফাযেলে বেরেলবী আওর তরকে মুওয়ালাত-৫, ডক্টর মাসউদ
    বেরেলবী}
    বুদ্ধিমানেরা আহমদ রেজা খানের দিকে মনোনিবেশ করলে তারা নির্বোধ হয়ে যেত। {ফাযেলে বেরেলবী
    ওলামায়ে হেযাজকে নজর মে-১৫}
    আহমদ রেজার পীর ও মুর্শীদের অবস্থাঃ যখন আলা হযরতে পীর সাহেব পাহাড়াদারীর জন্য আলা হযরতের
    কাছে দু’টি কুকুর চাইলেন। তখন আহমদ রেজা উত্তম প্রজাতির দু’টি কুকুর খানকায়ে আলীয়ার দেখাশোনার জন্য নিজের হাতে দু’টি কুকুর দিয়ে আসেন। {যিয়ায়ে হরম কা আলা হযরত নাম্বার-৬৯}
    আহমদ রেজার লিখিত কিতাবাদী
    ১- আলা হযরত ৭২টি কিতাব দেওবন্দের আলিমদের বিরোধীতায় লিখেছেন।
    ২- রশীদ আহমদ গঙ্গুহী এর বিরুদ্ধে ২৫টি কিতাব লিখেছেন।
    ৩- কাসেম নানুতবী এর বিরুদ্ধে ১১টি কিতাব লিখেছেন।
    ৪- আশরাফ আলী থানবী এর বিরুদ্ধে ৯টি কিতাব লিখেছেন।
    ৫- শাহ ইসমাঈল এর বিরুদ্ধে ১০টি কিতাব লিখেছেন।
    ৬- নদওয়াতুল ওলামাদের বিরুদ্ধে ১৭টি কিতাব লিখেছেন।
    ৭- কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে ৬টি কিতাব লিখেছেন।
    ৮- শিয়াদের বিরুদ্ধে ৪টি কিতাব লিখেছেন।
    ৯- হিন্দুদের বিরুদ্ধে ১টি কিতাব লিখেছেন।
    {আলমুজমালুল মুজাদ্দিদ লিততালিফিল মুজাদ্দিদ-৩৪,
    মার্কাজী মজলিসে রেজা লাহুর থেকে প্রকাশিত}
    আহমদ রেজা আযাবে গ্রেফতারঃ ﺧﺪﺍﮰ ﻗﮩﺎﺭ ﮨﮯ ﻏﻀﺐ ﭘﺮ ﮐﮩﻠﮯ ﮨﯿﮟ ﺑﺪﮐﺎﺭﯾﻮﮞ ﮐﮯ ﺩﻓﺘﺮ، ﺑﭽﺎ ﻟﻮ ﺁﮐﺮ ﺷﻔﯿﻊ ﻣﺤﺸﺮ ﺗﻤﮩﺎﺭﺍ ﺑﻨﺪﮦ ﻋﺬﺍﺏ ﻣﯿﮟ ﮨﮯ -
    আহমাদ রেজা বলেনঃ রাগাম্বিত খোদা রাগে খুলেছেন বদকারীদের দপ্তর, হাশরের শফী রক্ষা করুন তোমার বান্দা আজাবে গ্রেফতার। {রেসালায়ে উনিস আহলে সুন্নত-৩০, আহমদ রেজা}
    আহমদ রেজা হাজার কুকুরের মাঝে এক কুকুরঃ ﮐﻮﺋﻰ ﻛﻴﻮﮞ ﭘﻮﭼﮩﮯ ﺗﯿﺮﯼ ﺑﺎﺕ ﺭﺿﺎ، ﺗﺠﮧ ﺳﮯ ﮐﺘﮯ ﮨﺰﺍﺭ ﭘﮩﺮﺗﮯ ﮨﯿﮟ، কেউ কেন জিজ্ঞেস করে তোমার কথা হে রেজা? তোমার চেয়ে কত হাজার কুকুর ঘুরে বেড়ায়।
    {হাদায়েকে বখশীশ-১/৪৪, আহমদ রেজা}
    আহমদ রেজা বদ, চোরও অপরাধী!
    আহমদ রেজা লিখেনঃ “আমি বদ, চোর, অপরাধী ও অপদার্থ। {হাতায়েকে বখশীশ-১/৫}
    আলা হযরতের জবানের লাগামহীনতাঃ খাজা কামরুদ্দীন সিয়ালুয়ী সাহেবের উস্তাদ আল্লামা মঈনুদ্দীন চিশতী আজমিরী সাহেব আহমদ রেজা খানের স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে খুব সুন্দর একটি চিত্র উপস্থাপন করেছেন।
    “আলা হযরতের মুখের ভাষা শুনে বাজারী ও লম্পট লোকেরা পর্যন্ত কান চেপে ধরতে হতো। এর পর আর কী হতে পারে? যার দ্বারা আলা হযরতকে অশ্লীলভাষী বলে সাব্যস্ত করা যায়? যখন চূড়ান্ত পর্যায়ের অশ্লীলভাষীরা তার চূড়ান্ত অশ্লীল কথনের প্রদর্শন করে থাকে তখন তার অশ্লীল বাক্য প্রয়োগের যে অবস্থা হয়, তেমন অবস্থা
    ওলামায়ে কেরাম সম্পর্কে আলা হযরতের। {তাযাল্লিয়াতে আনওয়ারে মুঈন-৩২}
    ফাযেলে বেরেলবী ওলামাদের অপমান করা ছাড়াও তাদের মহিলা বলেও সম্বোধন করতেন। {তাযাল্লিয়াতে আনওয়ারে মুঈন-২৩}
    বেরেলবী থেকে ফারিগদের মাঝে কথার মাঝে কঠোরতা এবং অশ্লীলতা ছিল। {তাযাল্লিয়াতে আনওয়ারে মুঈন-২৩}
    আহমদ রেজার পাগলামী মন্তব্য ও লেখা প্রসঙ্গে # দেওবন্দীদের কিতাব এতই নিকৃষ্ট যে, এর উপর
    প্রস্রাব করলে প্রস্রাব আরো নাপাক আরো হয়ে যায়।  সুবহানুস সুবূহ-৯৪, আহমদ রেজা}
    # দেওবন্দীদের খোদা বেশ্যাদের মত জিনাও করায়। নইলে দেওবন্দী পতিতালয়ওয়ালারা একথা বলতো না
    যে, এ নির্বোধরা আমাদের [রেজাখানী] সমান হতে পারেনি। তারপর এটাও জরুরী হয় যে, তোমাদের খোদার স্ত্রীও আছে। আর এটাও জরুরী যে, খোদার লিঙ্গও আছে। এ খোদার সাথে একজন মহিলা খোদাও মানতে হবে। {সুবহানুস সুবূহ-১৪২, আহমদ রেজা}
    # এখনতো দেওবন্দীদের দুই পৃষ্ঠার কেউ জবাব দেয় না। আর তাদের দুই পৃষ্ঠা এখন থুথু ফেলারও যোগ্য
    রয়নি। বরং তাতে পেশাব করা পেশাবকে আরো নাপাক ও খারাপ করা ছাড়া কিছু নয়। {আল্লাহ ঝুট ছে
    পাক-৯৬, আহমদ রেজা}
    # আশহাবে সাকেব কিতাবের উপর সমালোচনা করে আহমদ রেজা সাহেব লিখেন-
    “কখনো কোন উন্মাদ, নির্লজ্জ, নাপাক, নোংরা থেকে নোংরা, অশ্লীলের চেয়ে অশ্লীল, পাজী, কমিনা, গান্ধি ব্যক্তি নিজের প্রতিপক্ষের বিপরীতে বেপরোয়াভাবে এমন কাজ করেছে? চোখ বন্ধ করে, দুর্গন্ধময় মুখ বের করে, এরই উপর গর্ব করে সেটাকে বাজারে প্রকাশ করেছে? শোনা যায় যে, এতে কোন এক নবকুমারী, লজ্জাবতী, শর্মিলী,
    তীক্ষè যৌনাবেদনময়ী, রসালো মিষ্টান্ন, অচল, অর্বাচিন, চঞ্চলা, অপরিপক্ক, নির্লজ্জ চোখ এমন বাণ নিক্ষেপ করেছে। এ নোংরা চোখ বিশিষ্ট ব্যক্তি এর নাম রেখেছে শিহাবে সাকেব। {খালেসুল ই’তিকাদ-২২, আহমদ রেজা}
    আশরাফ আলী থানবী এর ব্যাপারে আহমদ রেজা লিখেছেন থানবী না তার থান ছাড়বে, না আমরা তার
    কান ছাড়বো। আমরা তাকে টিক টিক করেই যাবো, সে কখনোতো স্থান ত্যাগ করবেই। সে দুলতী চালাবে
    আর আমরা, তার পিঠের দিক থেকে তার কান ছাড়বো। থানবীজীর নিশ্চুপতা ভাঙ্গবে কে? যেতে দাও
    আমরাও ধ্যান ছেড়ে দিব। {হাদায়েকে বখশীশ-৩/৯৬, আহমদ রেজা}
    থানবী সম্পর্কে আহমদ রেজা আরো লিখেঃ ﺍﺿﺮ ﺟﺒﻠﻰ ﻣﻦ ﻧﺘﺎﺋﺞ ﺭﺩﺓ، ﻭﺍﺷﺮﻓﻌﻠﻰ ﻟﻌﺒﺔ ﺍﻟﺼﺒﻴﺎﻥ، ﺍﻧﻬﻰ ﺟﺮﺍﺀﻙ ﻓﻰ ﺍﻟﺤﺴﺎﻥ ﻋﻦ ﺍﻟﻌﻮﺍ، ﺍﻧﺖ ﺍﻧﺠﻰ ﻳﺎ ﻛﻠﺒﺔ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ،
    অনুবাদ- মুরতাদের বাচ্চার চেয়ে জঘন্য, তার কাজকর্ম বাচ্চাদের মত। তোমার স্পর্ধাকে ভাল মানুষদের পিছনে ঘেউ ঘেউ করা থেকে বাধা দাও, হে শয়তানের কুকুর তুমি নিজে ঘেউ ঘেউ কর। {হাদায়েকে বখশীশ-৩/৮৯, আহমদ রেজা}
    নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ এর ব্যাপারেঃ সুন্নাতের ঘোড়া যখন বেদআতের গাধার কাছে আসে, তখন নদওয়ার খচ্চর সৃষ্টি হল। এ পাখিওয়ালা গর্ব করছে। {হাদায়েকে বখশীশ-৩/৩২, আহমদ রেজা}
    আহমদ রেজার নিকট ওহাবী খোদাঃ ওহাবী এমন  ত্বাকে খোদা বলে, যে স্থান, কাল, আকার, মাহিয়্যাত, আকলী গঠণ থেকে পবিত্র। এমনটি বলা বেদআতে হাকিকিয়্যাহ এর অন্তুর্ভূক্ত। আর সুষ্পষ্ট কাফেরদের সাথে গণনার যোগ্য। তাঁর সত্যবাদী হওয়া জরুরী নয়। মিথ্যুকও হতে পারে। একে খোদা বলে, যার কথার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। না তার কিতাব দলিলযোগ্য। না তার দ্বীন নির্ভরযোগ্য। এমন সত্বাকে খোদা বলা হয়, যার মাঝে সর্ব প্রকার দোষ ও কমতির সমাবেশ রয়েছে। যে নিজের বড়ত্ব কতৃত্ব টিকিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে দোষী হতে বাঁচায়। মন চাইলে প্রতিটি নোংরা বস্তুতে মিশে যায়। এমন সত্বাকে বলে যার জ্ঞান অর্জন করলে অর্জিত হয়। তার জ্ঞান ইচ্ছাধীন। চাইলে অজ্ঞও থাকেন। এমনকে খোদা মানে, যার নির্বোধ হওয়া, ভুলে যাওয়া,
    ঘুমানো, তন্দ্রা যাওয়া, গাফেল হওয়া, জালেম হওয়া, এমনকি মারা যাওয়াসহ সব কিছুই সম্ভব। খানাপিনা,
    প্রস্রাব করা, পায়খানা করা, নর্দন কুর্দন, বাজীগরতের মত খেলা, মহিলাদের সাথে সহবাস করা, বলাৎকার করার মত যত নোংরা ও নির্লজ্জ কাজ করা, এমনটি শ্রমিকদের মত নিজে কাজ করার মত খাবাসাত ও নিম্ন কাজ করা তার শানের খেলাফ নয়। তিনি খানা, কামনা, এবং পেট ভরা, পুরুষ এবং মহিলাদের আলামতও রাখেন। তিনি দোষমুক্ত পবিত্র নয়। তিনি হিজড়া। অথবা কমপক্ষে তিনি নিজেকে এমন বানাতে পারেন। তিনি নিজেকে জালিয়েও দিতে পারেন। ডুবিয়েও দিতে পারেন। বিষ খেয়ে, গুলি করে আত্মহত্যাও করতে পারেন। তার পিতা-মাতা, বিবি-বাচ্চা সবই সম্ভব। বরং তিনি পিতা মাতা থেকেই জন্ম নিয়েছেন। রাবারের মত লম্বাও হয়,
    আবার চিপশেও যায়। এমন সত্তাকে খোদা মানে, যার কথা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। যে বান্দার মিথ্যা বলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। বান্দা থেকে চেহারা লুকিয়ে পেট ভরে মিথ্যা বলতে পারেন। {আলাআতায়ান নাবায়িয়্যাহ ফিল ফাতাওয়ার রেজাইয়্যাহ-১/৭৯১}
    ফাতাওয়া আফ্রিকাতে কুকুরের উল্লেখ
    # এক লাল কুকুরেরও এ গোস্তে অংশ আছে।
    {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৮, আহমদ রেজা}
    # আর ইলমে উল্লু, গাধা, কুকুর, শুকরের সমান।
    {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৮, আহমদ রেজা}
    # উস্তাদের এমনই ইলম ছি
    ল যেমন ছিল কুকুরের।
    {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৮, আহমদ রেজা}
    # তোমাদের কারো কি এটা পছন্দ হবে যে, কারো ছেলে, বা বোন কোন কুকুরের নিচে বাঁচে?
    {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৮, আহমদ রেজা}
    # যে মহিলা কোন বদ মাজহাবের অনুসারী হয়, সে এমন, যেমন কেউ কুকুরের অধীন হয়। {ফাতাওয়া
    আফ্রিকা-১১৯, আহমদ রেজা}
    # এটি এমন, যেমন কুকুর। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৯, আহমদ রেজা}
    # বদ মাজহাব কুকুর? না অন্য কিছু? {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৯, আহমদ রেজা}
    # বরং কুকুরের চেয়েও খারাপ। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৯, আহমদ রেজা}
    # বদ মাজহাবী জাহান্নামের কুকুর। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৯, আহমদ রেজা}
    # তার অবস্থা কুকুরের মত। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৯, আহমদ রেজা}
    # গাধা, কুকুর, শুকরের নাম বের হয়। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৯, আহমদ রেজা}
    # মুখ দিয়ে গাধা, কুকুর, শুকরে নাম বের হয়। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১২১, আহমদ রেজা}
    # গাধা, কুকুর, শুকরের নাম লিখেছে। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১২১, আহমদ রেজা}
    # কত স্থানে গাধা, কুকুর ও শুকরের নাম ইত্যাদি লিখা? {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১২১, আহমদ রেজা}
    # এবার ওলামায়ে কেরামের কাছে আরজ এই যে, এ অশ্লীলভাষী, নোংরাদের বিরুদ্ধে কুকুর, শুকরের নাম
    লেখা জায়েজ আছে। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১২৬, আহমদ রেজা}
    হাদায়েকে বখশীশে কুকুরের উল্লেখ
    # তোমার ফটকে ফটকে কুকুর, আর কুকুরের সাথেই হল আমার সম্পর্ক, আমার গর্দান তোমার রশিতে # আটকা। {হাদায়েকে বখশিশ-১/৫, আহমদ রেজা}
    # আমার কিসমতের কসম! বাগদাদের কুকুর। {হাদায়েকে বখশিশ-১/৫, আহমদ রেজা}
    # কুকুরের রাগে দেখ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন